আব্দুস সামাদ, বিশেষ প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা রসুলপুর আব্দাল হোসেন বসুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে একের পর এক ছাত্রী কেলেঙ্কারির গুরুতর ঘটনা ঘটেই চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীদের দাবি, এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ‘সেল্টার’ (আশ্রয়) দিচ্ছে।
এমনকি উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা মেলেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা, যা অভিভাবক মহলে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
’প্রাইভেট’ ক্লাসের আড়ালে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে ছুটির দিন বা বন্ধের দিনেও ‘প্রাইভেট পড়ানো’র নামে অতিরিক্ত ক্লাস চলে। এই অতিরিক্ত ক্লাসগুলো ঘিরেই ঘটছে একের পর এক ছাত্রী কেলেঙ্কারির ঘটনা অভিভাবক ও স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষকের ছায়ায় এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলতে থাকলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। একাধিক সূত্রের দাবি, এসব কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পরও তা ধামাচাপা দিতে একটি চক্র সক্রিয়। অভিযোগের তীর মূলত বিদ্যালয়ের ভেতরের এবং বাইরের একটি প্রভাবশালী মহলের দিকে।
প্রশাসন ও পুলিশের বক্তব্য: সুরাহা না মেলায় উদ্বেগ
এই গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জানান, অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ নিয়ে এলে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। ইউএনও আরও জানান, অভিযোগ পাওয়ার সময় পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উপস্থিত থাকায়, ওসিকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত অভিভাবকদের ফৌজদারি মামলা দায়ের করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “বিদ্যালয়ের ঘটনা সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে। আমরা এরই মধ্যে জিডি-র তদন্ত সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”
তবে লিখিত অভিযোগ, প্রশাসনের নির্দেশনা এবং পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হওয়া সত্ত্বেও, এখনও পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান সুরাহা না হওয়ায় বিদ্যালয়ের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবক মহলে। অভিযুক্ত শিক্ষক জাহাঙ্গীরের সাথে কথা বলার জন্য কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিরাপত্তা
নিয়ে শঙ্কিত এবং অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।