মোঃ নুরুজ্জামান ঠাকুরগাঁও, বালিয়াডাঙ্গী প্রতিনিধি।।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার জনপ্রিয়
সাংবাদিক হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তাকে পুলিশি হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবিতে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সাংবাদিক সমাজ ও স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মীদের যৌথ উদ্যোগে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তা মোড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ,
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ এবং সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
বক্তারা অবিলম্বে সাংবাদিক হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানি মূলক ও মিথ্যা মামলা
প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এবং তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়রানি করা বন্ধের আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক হারুন অর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে আসছেন।
তার লেখনীর মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র উঠে আসে, যা কিছু অসাধু মহলের স্বার্থে আঘাত হেনেছে। আর সেই কারণেই তাকে দমনের উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হচ্ছে।
এটি শুধু হারুন অর রশিদের প্রতি অন্যায় নয়, বরং স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর একটি বড় আঘাত।
বক্তারা আরও উল্লেখ করেন,
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
অথচ বালিয়াডাঙ্গীতে একজন নির্ভীক সাংবাদিককে একের পর এক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,
যদি অনতিবিলম্বে সাংবাদিক হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হয়
এবং তাকে হয়রানি করা বন্ধ না হয়,
তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবেন।
তারা ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে “সাংবাদিক হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই”,
“পুলিশি হয়রানি বন্ধ হোক”, “মুক্ত সাংবাদিকতা মুক্তি পাক” ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মানববন্ধন শেষে একটি স্মারকলিপি স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়।
এই মানববন্ধনের ফলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সাংবাদিক সমাজের মধ্যে একতা ও সংহতি আরও জোরদার হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।