জামাল উদ্দীন ,কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি ।
কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) একটি শক্তিশালী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ তিনজনকে আটক করেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিয়ানমার থেকে নাফ নদী ও সমুদ্র পাড়ি দিয়ে টেকনাফে পাচার হওয়া ৯০ হাজার পিস ইয়াবা ও ২৮ কেজি গাঁজাসহ অভিযানে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই অভিযান টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) পরিচালনা করেছে।
বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, গোপন সংবাদে বিজিবি দু’টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে। প্রথম অভিযানে সাবরাং ইউনিয়নের আলীর ডেইল এলাকার একটি বসত বাড়ি থেকে ৯০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় এবং মিনারা বেগম (৩৫) ও মো: কেফায়েত উল্লাহকে আটক করা হয়।
অপর একটি অভিযানে সাবরাং ইউনিয়ন ও নাফ নদীর তীরে অবস্থিত খুরেরমুখ এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মুরগীর খামারে লুকানো অবস্থায় ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় বাড়ির মালিক জমিলা বেগম (৫০) কে আটক করা হয়। তিনি ওই এলাকার মৃত আলী আহমদের স্ত্রী।
টেকনাফে সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক পাচারের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মিয়ানমার থেকে নাফ নদী ও সমুদ্র পথে নিয়মিত মাদক পাচার হচ্ছে, তবে বিজিবির টহল ও অভিযান এসব অপরাধকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, বিজিবির কঠোর নজরদারির কারণে অনেক মাদক পাচারকারী গ্রেফতার হয়েছে, তবে বড় বড় চালান এখনো ধরা পড়েনি।
বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, বিজিবি সীমান্ত সুরক্ষা, মাদক নির্মূল এবং অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কাজ করছে। তিনি জানান, ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
টেকনাফসহ কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকায় এই ধরনের অভিযান চলমান থাকায় মাদক পাচারের চক্রগুলো কমতে শুরু করেছে বলে জানাচ্ছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় সহযোগিতা এবং জনসচেতনতা বাড়ানো গেলে মাদক নির্মূল সম্ভব হবে