
কল্লোল আহমেদঃ লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর ২০২৫) কোইকার অর্থায়নে, সেভ দ্য চিল্ড্রেন বাংলাদেশ ও আরডিআরএস বাংলাদেশ বাস্তবায়িত “জননী প্রকল্প”-এর উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য বউ-শাশুড়ির মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শাহ জালাল, উপপরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, লালমনিরহাট।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন –
মোঃ সাকির হোসেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, লালমনিরহাট সদর
মোঃ আলম সরকার, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য (FWC), পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র
মোঃ শফিউজ্জামান মিয়া, চেয়ারম্যান, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ
মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, সভাপতি, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন ফেডারেশন
মোঃ জুলফিকার আলী, অফিসার, গভর্ন্যান্স অ্যান্ড কমিউনিটি মোবিলাইজেশন, জননী প্রকল্প, আরডিআরএস বাংলাদেশ
মোঃ নজরুল ইসলাম, অফিসার, গভর্ন্যান্স অ্যান্ড কমিউনিটি মোবিলাইজেশন, আদিতমারী, লালমনিরহাট
মেলার মাধ্যমে গর্ভবতী মা, প্রসূতি মা, শাশুড়ি ও স্বামীদের একত্রিত করে পরিবারে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা, পরিবার পরিকল্পনা, নবজাতকের যত্ন এবং বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত গর্ভবতী মা, প্রসূতি মা, শাশুড়ি, স্বামীসহ স্থানীয় জনগণ উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। তারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, আলোচনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে পরিবারে নারীস্বাস্থ্য ও মাতৃত্বকালীন যত্নের গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা নেন।
মেলার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি উপস্থিত প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর মাঝে একটি করে গাছ বিতরণ করা হয়। আয়োজকরা জানান, গাছ বিতরণের উদ্দেশ্য হলো পরিবার ও সমাজে পরিবেশবান্ধব চিন্তা ছড়িয়ে দেওয়া এবং মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতার পাশাপাশি সবুজায়নের গুরুত্বও তুলে ধরা।
প্রধান অতিথি মোঃ শাহ জালাল বলেন, “নারী ও শিশুস্বাস্থ্য রক্ষায় পরিবারে শাশুড়ি এবং স্বামীর সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। এ ধরনের মেলা সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”
বিশেষ অতিথি মোঃ সাকির হোসেন বলেন, “প্রসূতি মায়েদের নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করতে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সবসময় পাশে আছে। জননী প্রকল্পের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
অন্য অতিথিরা বলেন, পরিবারে নারী-পুরুষ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া মাতৃমৃত্যু হার কমানো সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি পরিবারকে স্বাস্থ্যসচেতন হতে হবে।
জননী প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এই মেলার মাধ্যমে পরিবারে শাশুড়ি ও স্বামীদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করা হচ্ছে যাতে গর্ভকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সময়ে নারীরা প্রয়োজনীয় সহায়তা পান।