নুরুজ্জামান আহমেদ, কালীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট-২ আসন (কালীগঞ্জ ও আদিতমারী) এলাকায় কালীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর একটি ব্যানারে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে দলটির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
২০ অক্টোবর, সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের শিমুলতলা এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকের একটি ফেস্টুনে আগুন লাগিয়ে কিছু অংশ পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
২১ অক্টোবর, মঙ্গলবার বিকেলে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের শিমুলতলায় ওই ঘটনার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দুর্বৃত্তদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক সহনশীলতার পরিপন্থী। একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চলছে। দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে ব্যাহত করার যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
বক্তারা দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এবং এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা আমির মাওলানা রুহুল আমিন এবং সেক্রেটারি মাওলানা মো. জয়নুল আবেদীন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি; সহকারী অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, লালমনিরহাট জেলা শাখা; মাওলানা শাহ আলম, ইউনিয়ন আমির; আতা ই রাব্বী হৃদয়, উপজেলা সেক্রেটারি, যুব ও ক্রীড়া বিভাগ; গোলাম মোস্তফা, ইউনিয়ন সেক্রেটারি; আলিমুল ইসলাম তুহিন, সভাপতি, ইসলামী ছাত্রশিবির, কালীগঞ্জ উত্তর সাংগঠনিক থানা শাখা; এবং আসাদুল ইসলাম, ইউনিয়ন সভাপতি, যুব ও ক্রীড়া বিভাগ।
উপজেলা আমির মাওলানা রুহুল আমিন আরও বলেন, “এহেন ঘৃণ্য অন্যায়কারী যদি আমাদের কাছে গোপনে ক্ষমা চায়, আমরা ক্ষমা করে দেব। আর যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চায়, তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।”