স্টাফ রিপোর্টারঃ লালমনিরহাট সদরের হারাটি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড কিসামত হারাটির নুরুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান একই ইউনিয়নের নায়েক গড় বালাটারির রফিকুল ইসলামের মেয়ে সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী রাদিয়া সিদ্দিকীর সাথে নয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ও পর্যায়ক্রমে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
রাদিয়া সিদ্দিকী বলেন মেহেদী হাসানের মা কিছু দিন পূর্বে আমাকে ডেকে নিয়ে মিথ্যা প্রলোভন দেন যে আমি ঢাকায় যাচ্ছি এসে পারিবারিক ভাবে বসে বিবাহ ঠিক করবো,, তার ৭ দিন পর তাদের ছেলেকে অন্যত্র বিবাহ দেন এ খবর পেয়ে আমি তার বাড়িতে বিয়ের জন্য পাঁচ দিন ধরে অনশন করতেছি অনশনের প্রথম দিনে মেহেদী হাসান পালিয়ে যান।
রাদিয়া সিদ্দিকীর দাবি অনশনরত অবস্থায় মেহেদী হাসানের মা এবং তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেছেন এই নির্যাতন দেখে মেহেদী হাসানের এলাকাবাসী আজকে আমার পক্ষে তারাও অনশনে বসেন আমার ও মেহেদী হাসানের বিবাহের জন্য।
মেহেদী হাসানের এলাকাবাসীর দাবি ৯ বছর রাদিয়া সিদ্দিকীর সাথে প্রেম করে বিভিন্ন প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে এখন অন্যত্র বিবাহ করেন। আমরা চাই রাদিয়ার সাথে মেহেদীর বিবাহ দিতে এবং এলাকাবাসী আমরা সবাই রাদিয়ার পাশে আছি তাকে ন্যায় পাইয়ে দেওয়ার জন্য।
রাদিয়া সিদ্দিকী জানান যদি মেহেদী হাসান আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি তার বাড়িতেই দুনিয়া ছেড়ে চলে যাব।
এ বিষয়ে মেহেদী হাসানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে যান এবং অন্যত্র থেকে পুলিশকে ফোন দিয়ে মিথ্যা খবর দেন এবং শত শত এলাকাবাসীকে ডাকাত বানিয়ে দেন।