আব্দুস সামাদ, বিশেষ প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিএমডিসি নিবন্ধন ছাড়াই অবৈধভাবে দীর্ঘদিন থেকে প্রতারণামূলক চিকিৎসা সেবা প্রদানের অপরাধে এক ভুয়া চিকিৎসককে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (৬ অক্টোবর)রাতে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার দাশ রসুলগঞ্জ বাজারের ইসলামী ব্যাংক পাটগ্রাম শাখার নিচতলায় রহমত ফার্মেসি সংলগ্ন ব্যক্তিগত চেম্বারে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন ডা. দেবব্রত কুমার রায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর ঝানজাইল এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমান জুয়েল (৩৫), বৈবাহিক সূত্রে প্রায় ৮ বছর ধরে পাটগ্রাম উপজেলার সাহেবডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করে আসছেন।
দীর্ঘদিন ধরে পাটগ্রাম বাজারে কোনো বৈধ সনদপত্র বা নিবন্ধন ছাড়াই ব্যবস্থাপত্র লিখে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। তার এই অবৈধ চিকিৎসা সেবার কারণে জনগণের স্বাস্থ্য, অর্থ ও জীবন বিপন্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল বলে জানান সাধারণ জনগণ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবব্রত কুমার রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালত ভূয়া চিকিৎসক জুয়েলকে হাতেনাতে ধরে।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, ভ্রাম্যমাণ আদালত তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এ সময় পাটগ্রাম থানার এসআই রেজার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সার্বিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা প্রদান করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবব্রত কুমার রায় বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কোন নিবন্ধন ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। এমন তথ্য পাওয়ার পর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ওই ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ জানান, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে এ ধরনের অবৈধ ও প্রতারণামূলক চিকিৎসা সেবার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে সবাই সচেতন হবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।