কল্লোল আহমেদঃ ১৪৫টি পূজা মণ্ডপে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল জোরদার। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)।
দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের ভেতরে লালমনিরহাট জেলার ৮৭টি ও কুড়িগ্রাম জেলার ৫৮টি—মোট ১৪৫টি পূজা মণ্ডপকে নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিজিবি সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহল, গোয়েন্দা নজরদারি ও নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
১৫ বিজিবির আওতাধীন ১৭টি বিওপির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা সীমান্তবর্তী প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছেন। এর ফলে পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি, সম্পাদকসহ স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং বিজিবির প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করেছেন। তারা মনে করছেন, বিজিবির এমন তৎপরতায় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে।
এরই অংশ হিসেবে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি সীমান্তবর্তী দুরাকুটি দক্ষিণপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমান্ডিং অফিসার বলেন লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্তবর্তী মোট ১৪৫টি পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে বিজিবির টহল দল সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত এ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় দুর্গাপূজা চলাকালীন সময়ে যাতে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট না হয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব উদযাপন করা যায়, সে ব্যাপারে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, সীমান্ত এলাকায় পূজা চলাকালে আগে তাদের মাঝে ভীতির সঞ্চার হতো। তবে এবারের দুর্গোৎসবে বিজিবির কঠোর নজরদারি তাদের মধ্যে স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধ তৈরি করেছে। তারা বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়—এজন্য প্রশাসনের পাশাপাশি বিজিবির কঠোর নিরাপত্তা বলয় উৎসবের আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।