মোঃ নুরুজ্জামান ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রতিনিধি।।
একজন উদ্যোক্তা সমাজ বা রাষ্ট্রের পথ প্রদর্শক।
সমাজে অনেক শিক্ষিত মানুষ আছে যারা সমাজ বা রাষ্ট্রকে কিছু দিতে চায় না তারা সব সময় নিজেরটা চিন্তা করে।
এক শ্রেণির শিক্ষিত মানুষ সব সময় নিজেকে রিজার্ভ রেখে চলতে চায়,নিজের মধ্যে সব গুছিয়ে রেখে একটা চাকুরির সন্ধ্যান করে।
চাকুরি পেলেও চাকুরির নিদিস্ট গণ্ডির বাইরে যেতে চান না।
যে সমাজের শিক্ষিত মানুষজনের মাধ্যমে সমাজে বা রাষ্ট্রে শিক্ষা, সংস্কৃতি,খাদ্য,বাসস্থান,বস্ত্র ও চিকিৎসায় যদি কোন প্রভাব না থাকে তাহলে সে শিক্ষার কোন মূল্যই নেই।
আমরা যারা সমাজ বা রাষ্ট্রে শিক্ষিত মানুষ আছি।
আমাদের কাজ হলো সমাজের পিছিয়ে পরা বা অনগ্রসর মানুষদের অগ্রসর করার বা পথ দেখাবার জন্য চেস্টা করা।
এমনই একজন উদ্যোক্তা বালিয়াডাংগীর আবু শাহিন ভাই।
আবু শাহিন ভাই একজন মেধাবী ছাত্র। ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য ছুটোছুটি না করে বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেন। পাশাপাশি সে নিজেকে ও নিকট বন্ধু-বান্ধবদের কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার চেস্টা করে যাচ্ছে।
পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক মানুষ হিসেবে সে নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেস্টা করে।
আবু শাহিন ভাই ও তার কয়েকজন বন্ধু সমতলে চা চাষ করে ইতোমধ্যে লাভবান হতে শুরু করেছেন।ধীরে ধীরে তাকে দেখে অনেক চাষী চা চাষে আগ্রহী হয়েছে,
হচ্ছে।
ভ্রমন প্রিয় অনেক মানুষ এখন চা বাগান দেখতে যাচ্ছে তার চা বাগানে।
ইতোমধ্যে চা বাগানে সাথি ফসল হিসেবে নতুন সংযোজন হয়েছে কলা চাষ।
চা’য়ের সংগে সাথি ফসল কলা চাষ এটি কেউ কখনো চিন্তাই করেনি।
আবু শাহিনের সাথি ফসল কলাচাষ এটি এখন অনেক চাষীকে নাড়া দিয়েছে।
সাগর কলা ও চম্পা কলার গাছ,
গাছগুলোও ভাল হয়েছে। ফলনও হয়েছে ব্যাপক।
এক একটি কলার খাদি (খান্দি) তে 250 শ থেকে 300 কলা দেখা গেছে।
প্রতিদিন উৎসুক মানুষ দেখতে যাচ্ছে সাথি ফসল কলা বাম্পার ফলন।
কেউ যেতে চাইলে,যেতে পারেন যেভাবে-
আবু শাহিনের চা বাগানটি বালিয়াডাঙ্গীর কুশলডাঙ্গী বাজারের পূর্ব পাশে
(কুশল ডাঙ্গী ব্রীজের দক্ষিন পাশে)।কিংবা বালিয়াডাঙ্গী হতে দুওসুও জিয়াখোর স্কুলের পাশ দিয়ে ৫০০ মিটার পশ্চিমে গেলেই আবু শাহীনের মনোরম চা বাগান।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে আসা আবু শাহিন ভাই এখন সফল উদ্যোক্তা এবং অনগ্রসর মানুষদের পথ প্রদর্শকও বটে।