নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
লালমনিরহাট নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্ররা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ মোসলেম উদ্দিন কে গুরুতর পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগে গভর্নিং বডি বিগত ১৯-৮-২৪ ইং তারিখের সবার সিদ্ধান্ত মতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এবং উপাধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।
অতঃপর সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দিন গত ০৭-১১-২৪ ইং তারিখে স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা প্রদান করেন। যাহা লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে এডহক কমিটিতে ১০-১১-২৪ ইং তারিখে ২৪/৪ নম্বর সভায় গৃহীত ও অনুমোদিত হয়। এবং এমপিও শীট হতে তার নাম কর্তনের সিদ্ধান্ত হয়।
সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দিন জোরপূর্বক পদত্যাগ ও হেনস্থা করার বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। মহাপরিচালক বিষয়টি তদন্ত করার জন্য লালমনিরহাট জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা প্রদান করেন। বিষয়টি লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এডহক কমিটির বিগত ২২/৫/২৫ ইং তারিখের ২৪/৫ সভায় আলোচিত হয় যে, তিনি স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে ইস্তফা দিয়েছেন মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আবারও সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দিন অধ্যক্ষ পদে প্রদত্ত ইস্তফা পত্র অবৈধ ঘোষণার প্রার্থনা করে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন ২৭৬১/২৫ দাখিল করলে হাইকোর্ট বিভাগ গত ৯-০৩-২৫ ইং তারিখের আদেশে উত্ত ইস্তফা পত্রের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলাম উক্ত আদেশের অসম্মতিতে আপিল বিভাগের সিভিল পিটিশন পর লিভ টু আপিল নম্বর ১৮৫৩/২৫ দাখিল করলে আপিল বিভাগ বিগত ২২-০৫-২৫ ইং তারিখের আদেশে হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত ০৯-০৩-২৫ ইং তারিখের আদেশের কার্যকারিতা ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম কর্তৃক উত্তরুপ পূর্বের স্থগিতাদেশের ধারাবাহিকতায় পুনরায় স্থগিতাদেশ বর্ধিতকরণের আবেদনের ভিত্তিতে আপিল বিভাগের অফিস আদেশ মতে গত ২২/৫/২৫ তারিখের স্থগিতাদেশ অদ্যাবধি পর্যন্ত কার্যকর আছে।
সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দিন সাময়িক বরখাস্ত থাকা অবস্থায় স্বীয়পদে ইস্তফা প্রদান করায় ও ইস্তফা এডহক কমিটির সভায় গৃহীত ও অনুমোদিত ও এমপিও শিট হতে নামকর্তনের সিদ্ধান্ত হওয়ায়। এবং তিনি স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে ইস্তফা দিয়েছেন মর্মে এডহক কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়। হাইকোর্ট বিভাগের স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগ কর্তৃক স্থগিত হওয়ায় হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নম্বর ২৭৬১/২৫ ইং ও আপিল বিভাগের সিভিল পিটিশন পর লিভ টু আপিল নম্বর ১৮৫৩/২৫ ইং বিচারাধীন থাকায় সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দিনকে বেতন ভাতার সরকারি অংশ প্রদান করার আইনত কোন সুযোগ নেই।
এমত অবস্থায় তাকে বেতন ভাতার সরকারি অংশ প্রদান করা হলে মাদ্রাসায় জটিলতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। উল্লেখ্য যে, গত জুন মাসের বেতন বিলে সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দিনের নামের বিপরীতে ইস্তফা দিয়েছেন কথা উল্লেখ আছে বিধায় উপযুক্ত অবস্থাধীনে ও কারণাধীনে সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দিনের বেতন ভাতার বিলে প্রতিস্বাক্ষর না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
এ বিষয়ে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
প্রকাশক ও সম্পাদক : জিল্লুর রহমান
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত