আব্দুস সামাদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় অবৈধভাবে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া যেখানে সেখানে যত্রতত্রভাবে বেশ কিছু স্থানে অবৈধভাবে দোকান দিয়ে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে।
এরেই ধারাবাহিকতায় পাটগ্রাম গণমাধ্যম কর্মীগণ জাতীয় পত্রিকা, আঞ্চলিক পত্রিকা,ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে নিউজ করেন। অবৈধভাবে তেল বিক্রি হওয়ার নিউজ হওয়াতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশের দৃষ্টিগোচর হলে ধবল সুতি মৌজার লাইসেন্স বিহীন ব্যবসার অভিযোগ পেয়ে অভিযানে গেলে অভিযুক্ত রাফা এন্টারপ্রাইজ এডি এন্টারপ্রাইজয়ের লাইসেন্স প্রদর্শন করে যা ভিন্ন স্হানে অবস্থিত কারণে রহমান নামে এক ব্যক্তিকে ১০০০০টাকা জরিমানা করে উক্ত দোকান বন্ধ করে দেয়।
এ ডি এন্টারপ্রাইজ এর মেঘনা পেট্রলিয়াম লি:এর এজেন্সি দ্বারা রয়েছে উক্ত লাইসেন্স নিয়ে অনুসন্ধানে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিস্ফোরক পরিদপ্তর একজন লাইসেন্স গ্রহিতাকে ১ বছরের জন্য লাইসেন্স প্রদান করে। যা প্রতি বছর নবায়ন করতে হয়।এ ডি এন্টারপ্রাইজ এর মালিক আশুদেব সাহা ২০২২সালের নভেম্বর থেকে নিজ সাক্ষরে লাইসেন্স নবায়ন এর জন্য আবেদন করে আসছে। সে মোতাবেক নবায়ন মঞ্জুর ও হয়। অথচ আশুদেব সাহা মারা গেছেন ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে। একজন মৃত ব্যক্তি কিভাবে লাইসেন্স নবায়ন এর জন্য আবেদন করতে পারেন? তা মঞ্জুর হয় কিভাবে? তার পরিবার কি জবাব দেবেন? প্রশাসন কি ব্যবস্থা নিবেন? মেঘনা পেট্রলিয়াম লি কি পদক্ষেপ নিবেন?
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আবার উক্ত অভিযুক্ত স্থানে আশুদেব সাহা এর পরিবার নতুন করে লাইসেন্স নেয়ার জন্য বিস্ফোরক পরিদর্শক রংপুর ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় লালমনিরহাটে আবেদন করেছে বলে গোপন সুত্রে জানা যায়। এদিকে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে উক্ত অভিযুক্ত স্থানে আশুদেব সাহার পরিবারের সাথে দোকানটি পরিচালনা করতো রহমান নামে এক ব্যক্তি। অভিযুক্ত ব্যক্তিগন সাক্ষর জালিয়াতি করে লাইসেন্স কেমন করে বহাল রাখেন?
নতুন করে আবেদন করার নৈতিক অধিকারই বা তাদের কতটুকু রয়েছে ? নতুন লাইসেন্স পাওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিস্ফোরক পরিদর্শক, রংপুর অশোক কুমার বলেন, পুরাতন লাইসেন্সের মালিকানা পরিবর্তন করতে হলে উক্ত লাইসেন্স সম্পূর্ণ করে নতুন করে আবেদন করতে হবে।আবার নতুন স্থানে পরিবর্তন করতে হলে নতুন করে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসন থেকে অনাপত্তিপত্র নিতে হবে এবং প্রস্তাবিত নতুন স্থানে তেল বিপনন কোম্পানি থেকে ডিলারশীপ নিয়ে তবেই আবেদন করতে হবে।এজেন্সি হলে হবে না, যা এ ডি এন্টারপ্রাইজ এর রয়েছে। আশুদেব সাহা মারা যাওয়ার সাথে সাথে সম্ভবত তা বাতিল হয়ে গেছে।
এরপর বিস্ফোরক পরিদর্শক অফিস তা অনুমোদন করবে। ডিলারশীপ পেতে যেসব নীতিমালা প্রয়োগ করা হবে তার মধ্যে একটি হলো নতুন ফিলিং স্টেশন স্থাপন নীতিমালা। যেখানে বলা আছে স্থানটি সীমান্তের ৮ কি: মি:এর ভিতর হলে চলবে না। অবশ্য স্থানটি ৩ কি:মি: ভিতরে।তদুপরি লাইসেন্স নবায়ন নিয়ে অসদ উপায় অবলম্বন করেছেন আশুদেব সাহা ও রহমান । রহমান নামের ব্যক্তির ২ টি ফিলিং স্টেশন ও কয়েকটি ভাড়া নেয়া প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিশেষ করে সৈয়দপুরে ডিজেল পেট্রোলের তার বিশাল সেলস সেন্টার রয়েছে। নিশ্চয়ই এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড কি আইন সম্মত ভাবেই চলছে? নতুন আবেদনের বিষয়টি সত্য হলে এমন জটিল সমীকরন মিলিয়ে তবেই অনুমোদনের পালা। পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে এলাকাবাসী তা দেখার জন্য কৌতুহল দৃস্টি নিয়ে অপেক্ষা করছে।
কর্তৃপক্ষ আশুদেব সাহার পরিবারের মতো অসদুপায় গ্রহণ না করে নৈতিকভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন। এলাকাবাসীর এমনটাই দাবী।
প্রকাশক ও সম্পাদক : জিল্লুর রহমান
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত