এবি সিদ্দিক, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি।।
পাটগ্রাম উপজেলা ভূমি অফিসে নাজির কাম-ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত আল মামুনের বিরুদ্ধে কৌশলে ইউএনও’র স্বাক্ষরে ভুয়া বিল তৈরি করে সরকারি কোষাগার থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি যোগদানের পর থেকে তিনি ভুয়া ব্যয়ের নথি তৈরি করে ইউএনও’র স্বাক্ষর নিয়ে এই অনিয়ম করে আসছিলেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, মামুন পাটগ্রামে কর্মরত থাকাকালীন ইউএনও নুরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান ও উত্তম কুমার দাশের সময়ে এই কৌশল অবলম্বন করেন। গত ১৩ মে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের আদেশে তাকে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বদলি করা হলেও তিনি প্রভাব খাটিয়ে পাটগ্রামে থেকে যান এবং আরও তিন মাস ধরে ভুয়া বিল তৈরি করে টাকা তুলে নেন। এমনকি ৩ আগস্ট তাকে অবমুক্ত করার পরও তিনি তিন দিনের মধ্যে ৯টি ভুয়া বিল তৈরি করেন।
গত ৭ আগস্ট সোনালী ব্যাংক পাটগ্রাম শাখায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৫ টাকার ভুয়া বিল তুলতে গিয়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে মামুন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক তৌফিকুল ইসলাম সজিব পাটগ্রাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি জানান, মামুন ব্যয়ের তথ্য চাওয়ায় তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে হুমকি দেন।
মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কোনো অনিয়ম বা সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করিনি। দুর্নীতির বিষয়ে ইউএনও সব জানেন।” তবে ভূমি অফিসের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, মামুন ইউএনওদের যোগসাজসে এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নামে ভুয়া বিল তৈরি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
পাটগ্রামের বর্তমান ইউএনও উত্তম কুমার দাশ বলেন, “মামুনের আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অবমুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। আশা করি, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় গভীর তদন্ত হলে আরও গুরুতর অনিয়ম প্রকাশ পেতে পারে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।