আব্দুল লতিফ সরকার,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
প্রিপেইড মিটারের পরিবর্তে পোস্টপেইড মিটারের দাবিতে লালমনিরহাট নেসকো অফিস ঘেরাও করে আন্দোলন করেছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। এসময় অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আন্দোলন করে গ্রাহকরা।
গত জুলাই মাস থেকে লালমনিরহাটে পোস্টপেইড মিটারের পরিবর্তে প্রিপেইড মিটার লাগানো শুরু করে নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেড লালমনিরহাট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ। এই বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন ৪০হাজার ২৭০জন গ্রাহকের মধ্যে গত দুই মাসে ৫হাজার ২শত গ্রাহককে আগের পোষ্টপেইড মিটার খুলে প্রিপেইড মিটার দেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রিপেইড মিটার লাগানোর পর থেকে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দিয়ে আসছেন, 'আগের পোস্টপেইড মিটারের তুলনায় বর্তমান প্রিপেইড মিটারে বেশি টাকা কাটছে। সে হিসেবে মাসের বিদ্যুৎ বিলও বাড়ছে তাদের। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এছাড়া অক্ষর জ্ঞান না থাকায় গ্রাম গঞ্জের সাধারণ অনেক গ্রাহক প্রিপেইড মিটার নিজেরা রিচার্জ করতেও পারছেন না'। সাধারন গ্রাহকের এমন অভিযোগের গুরুত্ব না দেয়ায় ফুসে উঠে গ্রাহকরা। তারা সোমবার সকাল থেকে এলাকায় মাইকিং করে গ্রাহক জড়ো করে বিক্ষোভ সহ বিদ্যুৎ অফিসে এসে ঘেরাও কর্মসুচী শুরু করে। একপর্যায়ে উত্তেজিত গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিসের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা উত্তেজিত গ্রাহকদের হাত থেকে বাঁচতে তড়িঘড়ি করে অফিস গেট বন্ধ করে ভিতরে অবস্থান নিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এসময় লালমনিরহাট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল হক বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে উত্তেজিত গ্রাহকরা ফিরে যায়।
এ বিষয়ে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌললী মাহমুদুর রহমান জানান, অফিসের নির্দেশেই প্রিপেইড মিটারের পরিবর্তে পোস্ট পেইড মিটার লাগানো কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল গ্রাহককে এই মিটারের আওতায় আনা হবে। কিছু সাধারণ গ্রাহক যে অভিযোগ দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রকাশক ও সম্পাদক : জিল্লুর রহমান
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত