কল্লোল আহমেদঃ লালমনিরহাট শহরে আগে কখনো বন্যা বা বড় ধরনের জলাবদ্ধতার চিত্র দেখা না গেলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি নিত্যদিনের সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এর করুণ শিকার হয়েছে শহরের গর্ব।কালীবাড়ির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। এখানে প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি ও অন্যান্য জাতীয় দিবসে প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষ ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছেন।
কিছুদিন আগেই শহীদ মিনারটি সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু অযাচিত দালান নির্মাণ, পরিকল্পনাহীন রাস্তা-ঘাট উঁচু করা ও দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে মিনারের চারপাশের এলাকা নিচু হয়ে পড়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই প্রাঙ্গণ পুকুরে পরিণত হয়, হাঁটু পানি জমে থাকে দীর্ঘ সময়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “এটি শুধু জলাবদ্ধতা নয়, আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতি চরম অবহেলা। শহীদদের স্মৃতিচিহ্নের এই দুরবস্থা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।”
মাত্র কিছুদিন আগে নতুন রঙে সাজানো শহীদ মিনারটি এখন যেন এক ব্যঙ্গচিত্র—পানি ও কাদার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে শ্রদ্ধার প্রতীক। প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম বলেন,
“যে স্থানে একুশের প্রথম প্রহরে হাজার মানুষ ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণ করে, সেখানে আজ হাঁটু পানি। এটি অব্যবস্থাপনার ফল, আর এটি আমাদের ত্যাগ ও ইতিহাসের প্রতি অবমাননা।”
সচেতন মহল বলছে, অবিলম্বে সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও আশেপাশের জমি সমতল করার উদ্যোগ নিতে হবে। নইলে আগামী একুশে ফেব্রুয়ারিতেও ফুলের বদলে শহীদ মিনার ঘিরে থাকবে পানি, যা পুরো জাতির জন্যই লজ্জার।
স্লোগান: “শ্রদ্ধার মঞ্চে পানি — উন্নয়নের নামে অবহেলার থাবা”