মোহাম্মদ উল্লাহ সেনবাগ নোয়াখালীঃ বাংলাদেশে বর্তমানে ১৪ হাজারের অধিক কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোর প্রধান কাজ হলো গ্রামীণ জনগণের দ্বোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া।এর মধ্যে রয়েছে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, টিকাদান, পুষ্টি, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং পরামর্শ প্রদান করা।
এছাড়াও, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, সুষম খাদ্য গ্রহণ, রোগ প্রতিরোধে টিকা এবং ডায়রিয়া ও কৃমি প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করা।
কিন্তু_নোয়াখালী সেনবাগের ৩০ টি কমিউনিটি_ক্লিনিক গুলোর স্বাস্থ্যসেবার চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন।এখানে গ্রামীন জনপদে হতদরিদ্র মানুষগুলোর কাছে কমিউনিটি ক্লিনিক মানে।স্বাস্থ্যসেবার নামে হাসি তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।
প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ১(এক)জন সি এইচ সি পি(কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার)সপ্তাহের শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা বিকেল ৩ টা পর্যন্ত, ১(এক) জন এইচ এ (হেলথ এসিস্ট্যান্ট) সপ্তাহে ২ দিন, এবং ১(এক)জন এফ ডব্লিউ এ (ফ্যামেলি ওয়েলফেয়ার এসিস্ট্যান্ট) সপ্তাহে ২দিন ক্লিনিকে বসে চিকিৎসা সেবা প্রদানের সরকারী বিধি থাকলে ও এ নিয়ম মানছেনা শতকরা ৮০ ভাগ ক্লিনিকের দায়িত্বশীলরা।
সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় সিংহভাগ সি এইচ সি পি তাদের ডিউটি টাইম ৯ টার পরিবর্তে ১১ টায় আসেন এবং ৩ টায় প্রস্থানের বিপরীতে দুপুর ১ টায় বাড়ী ফেরেন। পাশাপাশি সপ্তাহে প্রায় ৩ থেকে ৪ দিন তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। আর এইচ এ এবং এফ ডব্লিউ এ কে তারা কখনোই দেখতে পায়না।
বিনামূল্যে সেবা ও ঔষধ প্রদান নিশ্চিত কল্পে সরকার ক্লিনিক গুলোতে ৩০ ধরনের ঔষধ প্রেরণ করলে ও রোগীরা ঔষধ পায়না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই।স্লিপ কিংবা প্রেসকিপশন লিখে দিয়ে রোগী বিদায় কিংবা ৫০ থেকে ১০০ টাকার বিনিময়ে ঔষধ পাওয়ার অভিযোগ এখন নিত্যদিনের।
এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেশ কয়েকজন সিএইচসিপি গণমাধ্যম কে জানান, রোগী স্বল্পতা এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ না থাকায় এমন অনিয়ম।
সেনবাগ_উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রাদিয়া আফরোজ জানান,ইতিমধ্যে বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন অভিযোগ কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বশীলদের বিষয়ে আমাদের কাছে এসেছে,আমরা সঠিক নজরদারী ও তদন্তের মাধ্যমে দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিষয়ে খুব সহসা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
প্রকাশক ও সম্পাদক : জিল্লুর রহমান
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত