মোঃ কামরুল হাসান কাজল কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নে ডিমের অস্বাভাবিক দরপতনে মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ডিম উৎপাদনকারী খামারিরা। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পরও বাজারে ন্যায্য দাম না থাকায় অন্তত ৫০টি পোলট্রি খামার অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
স্থানীয় মেসার্স গৃহস্থ এগ্রো ফার্মের পরিচালক মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে একটি ডিম উৎপাদনে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৯ টাকা, অথচ তা বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ৭ টাকায়। এতে প্রতিটি ডিমে গড়ে ২ টাকা করে লোকসান দিতে হচ্ছে খামারিদের। তার ভাষায়, প্রতিদিনের এই ক্ষতি মাস শেষে বিশাল অঙ্কে দাঁড়ায়।
তিনি আরও বলেন, মুরগির খাদ্য, ব্রুডার গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল, ওষুধ, ভ্যাকসিন এবং শ্রমিকের মজুরি—সবকিছুর দাম গত কয়েক মাসে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। অথচ বাজারে ডিমের দাম উল্টো কমেছে। এতে করে উৎপাদন ও বিক্রয়ের মধ্যে বড় ধরনের ব্যবধান তৈরি হয়েছে।
অন্য খামারিরা মোঃ মাইদুল ইসলাম, মোঃ মোতালেব হোসেন, মাহবুব মুসল্লী ও শামীম রানা শাওন জানান, খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যয় বহন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেকে ইতোমধ্যে ধার-দেনায় জড়িয়ে পড়েছেন। তারা বলেন, “আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে খামার বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না।
খামারিরা অভিযোগ করে বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে তারা বাজারমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরাসরি খামারি থেকে ডিম সংগ্রহ ও বাজার ব্যবস্থায় সরকারি তদারকি না থাকায় সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
স্থানীয় খামারিরা ডিমের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, উৎপাদন ভর্তুকি ও বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের আশঙ্কা, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পাথরডুবি অঞ্চলে ডিম উৎপাদন কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়বে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : জিল্লুর রহমান
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত