স্টাফ রিপোর্টার লালমনিরহাট:
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নে চাঁদা দাবি, হামলা, লুটপাট ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য ও স্থানীয় প্রভাবশালী এক যুবলীগ নেতাসহ ১৮০-২০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগকারী মোছাঃ অলিমা বেগম (৬৬), উত্তর ঘনেশ্যাম গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত খলিলুর রহমানের স্ত্রী। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ২৩ জুন বিকেলে তুষভান্ডার নহর উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে কাজ চলাকালীন সময়ে স্থানীয় মোঃ আলমগীর হোসেন ও মোঃ কামরুল হাসান পনিরসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি নিজেকে এনসিপি ও নৈরাজ্য বিরোধী ছাত্রনেতা পরিচয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের কাছে চাঁদা দাবি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে অলিমা বেগমের ছেলে মোঃ ওবায়দুল ইসলাম ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করেন।
এই ঘটনার জেরে পরদিন ২৪ জুন সকালে পরিকল্পিতভাবে প্রায় দুই শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অলিমা বেগমের বাড়িতে হামলা চালায়। অভিযোগে বলা হয়, হামলাকারীরা বাড়ির বাউন্ডারির মধ্যে প্রবেশ করে গালিগালাজ, ভাঙচুর, লুটপাট ও মারধর করে।
ভুক্তভোগীর দাবি, তার ছেলে না থাকায় অভিযুক্তরা ঘরের ভিতরে ঢুকে আলমারি, বেডসাইড ড্রয়ার ও আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে এবং নগদ এক লক্ষ পঁচানব্বই হাজার টাকা লুট করে। হামলার সময় বাধা দিতে গেলে অলিমা বেগম, তার পুত্রবধূ সামসুন্নাহার শিলা ও নাতনী আফিয়াত মুসতারী অনুকে পিটিয়ে আহত করে। একইসঙ্গে সামসুন্নাহার শিলার গলা থেকে ৭ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ লিমন, মোঃ ছামসুল ইসলাম ও মোঃ রবিউল আলম রাজু অভিযোগের স্বাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
বর্তমানে ভুক্তভোগী পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানিয়েছেন মোছাঃ অলিমা বেগম। এ ঘটনায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন তারা এবং বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।