এবি সিদ্দিক, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি।।
সারাদেশের বিভিন্ন বন্দরে শ্রমিকের নায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে পাটগ্রাম উপজেলাধীন বুড়িমারী স্থল বন্দরের সম্মুখে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এবি পার্টি।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু রাইয়ান আশয়ারী রছির নেতৃত্বে বুড়িমারী স্থল বন্দর সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির পাটগ্রাম ইউনিয়ন আহবায়ক মতিয়ার রহমান মাষ্টার, পাটগ্রাম উপজেলা আহ্বায়ক আবু হাসান জোবায়ের তোহা, পৌর আহবায়ক মাসুদ ইবনে আলম, সদস্য আল আমীন প্রমুখ। নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পাটগ্রাম উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুলকে সন্ত্রাসীদের গডফাদার, চোরাচালান সিন্ডিকেটের প্রধান, হুন্ডি ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে দুদককে অনুসন্ধানের আহ্বান জানান বক্তারা।
এবি পার্টির নেতা রছি বলেন, স্থলবন্দর বাংলা বান্ধার লেবার হ্যান্ডেলিং পরিচালনার পাশাপাশি সোনার হাট স্থল বন্দরের লেবার হ্যান্ডেলিং এর দরপত্রে অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে তালিকায় রয়েছে। এ ছাড়াও তার আরেকটি অংশীদারি প্রতিষ্ঠান ড্রপ কমিউনিকেশন লিমিটেড’র মাধ্যমে স্থলবন্দরে দীর্ঘদিন যাবত এখনো লেবার হ্যান্ডেলিং পরিচালনা করে আসছে। দীর্ঘ এক যুগ ধরে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে মোটা অংকের লেনদেনের বিনিময়ে এসব অপকর্ম করছে। তার একক নিয়ন্ত্রনে বুড়িমারীতে লেবার হ্যান্ডেলিং’র কাজ নেয়ার পাশাপাশি সাধারণ শ্রমিকের নায্য পাওনা না দেয়ায় শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পাঁচটি মিথ্যা মামলার এখনো তিনটি মামলা চলমান রয়েছে। তার মাধ্যমে বন্দরের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা পূর্বের টেন্ডার গুলোতে ওটিএম মেথডের মাধ্যমে নির্ধারিত দরের আগেই এই সিন্ডিকেটকে টেন্ডারের কার্যাদেশ প্রদান করত। যাতে করে অন্য কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ না পায়। বিষয়টি জানাজানি হলে কতিপয় কর্মকর্তাকে বদলিও করা হয়। অনেকেই আবার কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে পুরাতন জায়গায় স্বপদে বদলি হয়ে আসে। বুড়িমারী বন্দরে শ্রমিকদের আইডি কার্ড না থাকলে শ্রমিকদের ছাটাই ও কাজ থেকে বের করার হুমকি প্রদান করেন তার পছন্দের আওয়ামী দোসরের লোকজন। বিক্ষোভ সমাবেশের পর একটি সংবাদ সম্মেলন করে রুহুল আমিন বাবুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি দুদককে অনুসন্ধানের আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও এবিষয়ের ওপর বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের কাছে
একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন এবি পার্টির নেতাকর্মীরা।