মোঃআমানতুবিল্লাহঃ বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠিত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক এবার বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫-এ অংশগ্রহণকারীরা স্টারলিংকের উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করার সুযোগ পান। এই ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সম্মেলনের কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়।
গত ২৯ মার্চ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (BIDA) স্টারলিংকের বিনিয়োগ নিবন্ধন অনুমোদন দেয়। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করতে পারে। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই তারা তাদের সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে।
এর আগে, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারী নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস এবং ইলন মাস্কের মধ্যে ভিডিও কলে স্টারলিংক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মার্চ মাসে ঢাকায় একাধিকবার স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে স্টারলিংকের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ডিজিটাল যাত্রায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন ও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে স্পেসএক্সের এই অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে এটি চালু হলে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও সহজলভ্য হবে উচ্চগতির ইন্টারনেট, যা শহর ও গ্রামের মধ্যে বিদ্যমান ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে সহায়ক হবে।
তবে স্টারলিংকের সেবা গ্রহণ করতে হলে ব্যবহারকারীদের কিছু সরঞ্জাম কিনতে হবে। স্টারলিংক কিটের মূল্য ৩৪৯ থেকে ৫৯৯ ডলার পর্যন্ত, যা বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ৪৩,০০০ থেকে ৭৪,০০০ টাকা। এছাড়া, আবাসিক গ্রাহকদের জন্য মাসিক ইন্টারনেট ফি শুরু হচ্ছে ১২০ ডলার থেকে, যা প্রায় ১৫,০০০ টাকা। কর্পোরেট গ্রাহকদের ক্ষেত্রে এই খরচ আরও বেশি।
দেশভেদে এই মূল্যে কিছুটা তারতম্য থাকলেও, বাংলাদেশে স্টারলিংকের আগমন প্রবাসী বাংলাদেশি ও শহরের বাইরে বসবাসকারী নাগরিকদের জন্য উচ্চগতির নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট ব্যবহারের নতুন দুয়ার খুলে দিচ্ছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : জিল্লুর রহমান
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত