নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আটক ৫ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
সীমান্ত অতিক্রম করার অভিযোগে ৫ বাংলাদেশিকে আটকের পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের ৩ জন ও দুই জন স্বামী-স্ত্রী রয়েছেন। বিএসএফ ও বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর তাদের ফেরত দেয়া হয়।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে পানবাড়ি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার আইয়ুব আলী তাদের ফেরতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার বিকেলে ৫১ বিজিবি রংপুর ব্যাটালিয়ানের পানবাড়ি বিওপির তিনবিঘা করিডোর শূন্য লাইনে বিএসএফ ও বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের ওমর ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ইন্সপেক্টর সঞ্জীব কুমারসহ বিএসএফের সদস্যরা। অপরদিকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) পক্ষে নেতৃত্ব দেন রংপুর ৫১ বিজিবি পানবাড়ি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার আইয়ুব আলীসহ বিজিবির ৬ সদস্য।
পাঁচ বাংলাদেশির মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের তিনজন হলেন- ফরিদ ইসলামের সন্তান ফেরদৌস ফরহাদ রশনি (২৬), আনোয়ার হোসেনের সন্তান হৃদয় হাসান সারওয়ার নুরজাহান (২৮), মোয়াজ্জেম হোসেনের সন্তান হামিদুল ইসলাম রিয়া মনি (২৭)। তারা সবাই ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা। অপর দুজন হলেন- আহমাদ আলীর ছেলে আদম আলী (৫২) ও তার স্ত্রী আমিনা বিবি (৪২)। তারা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আঙ্গরপোতা বিওপি সীমান্ত ভারতের অভ্যন্তরে সিস্টিয়া নামক স্থান দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ৬ বিএসএফের ওমর ক্যাম্পের টহলদল আটক করে। ২০২২ সালে তারা অবৈধভাবে কুমিল্লা আগরতলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন বলে জানায় বিজিবি।
তবে একটি সূত্র জানায়, বিএসএফের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তারা বাংলাদেশি নাগরিক। তবে প্রত্যেকের কাছেই ভারতীয় পরিচয়পত্র, যেমন- আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড ছিল বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে যে দম্পতি রয়েছেন তারা বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা। তিনজন তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকের মধ্যে দুজনের বাড়ি ঢাকার মিরপুরে এবং একজনের নওগাঁয়।
রংপুর ৫১ বিজিবি পানবাড়ি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার আইয়ুব হোসেন বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ৫ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় বিএসএফ। পরে তাদের স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান।