
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ভারত আমাদের বিজয় দিবসকে মানে না। আওয়ামী লীগ ভারতের সরকার ছিলো একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মতো বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল ২ ঘটিকায় লালমনিরহাটের কালেক্টরেট মাঠে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ লালমনিরহাট জেলা শাখার আয়োজনে গণ- সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন ভারত আমাদের বিজয় দিবসকে মানে না, ভারত বিজয় দিবসকে তাদের বিজয় দিবস দাবি করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমরা যখন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় পাহারাদার ছিলাম তখন একটি দল দখল,চাদাবাজিতে ব্যস্ত ছিল।
বিএনপিকে ধিক্কার জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে বিএনপি। তারা হয়ত ভুলে গেছে আওয়ামী লীগের জুলুম ও নির্যাতনের কথা। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি অন্ধ হয়ে গেছে। বিএনপির কত লোক সন্তান হারিয়েছে,কত রক্ত ঝড়েছে,কত লোক গুম হয়েছে, আপনারা সেগুলো ভূলে গেছেন? কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলে ভারতকে যা দিয়েছি তা ভারত ভুলবে না। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন তিনি ভারতের কাছ থেকে কি নিয়ে এসেছে? আমরা ভারতের প্রতিটি যড়ষন্ত্রের প্রতিবাদ করেছি। সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশে যেভাবে আরাম-আয়েশে বসবাস করে। ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানরা কী সেভাবে বসবাস করতে পারে? সারা দেশে হিন্দুদের জানমালে কোনো আঘাত না আসে, এ জন্য আমরা কাজ করেছিলাম। হ্যাঁ এই শিক্ষা আমারা ইসলাম থেকে পেয়েছি।
নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কখনো পরগাছা হবো না। ক্ষমতায় গিয়ে আমাদের ব্যবহার করবে তা হবে না। দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে, তাই সজাগ থাকতে হবে। আমি জানি লালমনিরহাটের মানুষ ইসলাম প্রিয় যখন ডাক আসবে সবাইকে তৈরি থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা সমস্ত ইসলামী দলগুলো একই বাক্সে যেন আসতে পারি এই চেষ্টায় আছি সবাই দোয়া করবেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লালমনিরহাট জেলার সভাপতি হাফেজ আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এম হাছিবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মুফতী আব্দুর রহমান কাসেমী ও শাইখুল হাদীস মুফতী ফজলুল করীম শাহারিয়া, মুফতি মাহফুজুর রহমান, মোঃ মোকছেদুল ইসলাম, গাজী রমজান আলী প্রমুখ